Chairman Message

আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বর্তমানে অনেক সংস্কার সাধন হয়েছে। মূল ধারার শিক্ষা ব্যবস্থায় কুরআন, সুন্নাহ, আরবি শিক্ষার অনেক সংকোচন ঘটেছে। এ কথা সর্বজন বিদিত যে, কুরআন সুন্নাহর জ্ঞান মানুষকে তাকওয়াবান বানায় আর তাকওয়া মানুষকে সকল প্রকার অন্যায় গর্হিত কাজ থেকে দূরে রাখে। বর্তমানে শিক্ষার হার যে হারে বাড়ছে তার চেয়েও বাড়ছে অপরাধের হার। এ থেকেই প্রমাণ হচ্ছে, কুরআন সুন্নাহ বর্জিত শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদেরকে দুনিয়ার সব কিছু উপহার দিতে পারলেও নৈতিকতা শিক্ষা দিতে পারছে না।
আমাদের সন্তানদের শিক্ষা জীবন কুরআন দিয়েই শুরু করতে হবে। সাহাবী (রা.), তাবেয়ীগণ এবং তাদের অনুসারী সালফে সালেহীন সবাই শিক্ষা জীবনের শুরুতে কুরআন হিফজ করেছেন বা করার চেষ্টা করেছেন। মুসলিম উম্মাহর বড় বড় ইমামগণ আগে হাফিজে কুরআন এরপর দ্বীনের বাকী ইলম অর্জন করেছেন। আমরা যারা আমাদের সন্তানদেরকে আলিমে দ্বীন বানাতে চাই তাদেরকেও সালাফদের সেই পথে হাঁটতে হবে। আগে আমরা সন্তানদের হাফিজে কুরআন বানাবো এরপর আলিমে দ্বীন বানানোর চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
যাইতুন একাডেমি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য হচ্ছে, একজন শিক্ষার্থীকে কুরআনের সংস্পর্শে ভালো মানের আলেমে দ্বীন তৈরি করা। আমরা যে আলেমে দ্বীন বানাতে চাই তারা শুধু কুরআন ও আরবিতে ভালো হবে না, তারা ইংরেজি, কম্পিউটারসহ আধুনিক জ্ঞানেও হবে সুসজ্জিত।
যে সমস্ত বাবা-মা সন্তানকে হাফিজে কুরআন, খাটি আলিমে দ্বীন ও আধুনিক জ্ঞানে জ্ঞানী করতে চান তাদের জন্য যাইতুন একাডেমি হতে পারে সেরা পছন্দ।
আমাদের কারিকুলাম এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখান থেকে একজন শিক্ষার্থী কুরআনের হাফিজ হয়ে আলিয়া মাদরাসার সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত পড়ার-লেখার সুযোগ পাবে। সে যদি কওমী ধারায় অথবা জেনারেল ধারায় চলে যেতে চায় তাও যেতে পারবে এবং সেখানে গিয়েও ভালো রেজাল্ট করে নিজের ক্যারিয়ারকে সমুন্নত করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
ড. মুহাম্মদ আমিনুল হক
সহযোগী অধ্যাপক
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম

চেয়ারম্যান, যাইতুন একাডেমি।