।। আগামী কাল কুরবান ডিশ পার্টি ।। ।। অভিভাবকদের করণীয় ।। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।। সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ। ঈদুল আযহার লম্বা ছুটি শেষে আগামীকাল যাইতুন একাডেমি খুলতে যাচ্ছে। আপনারা জানেন যে, যাইতুন একাডেমি সব সময় ইসলামী কালচারকে প্রমোট করে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইসলামী সংস্কৃতির বীজ বপন করে দিতে পারলে ওরা আজীবন ইসলামী মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ও চেতনাকে ধারন করতে পারবে ইনশাআল্লাহ। গত বছরের ন্যায় এবছরও সবাইকে নিয়ে কুরবান ডিশ পার্টির আয়োজন করতে চাই। এই আয়োজনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা মিলে সবাই মিলে উৎসবমূখর পরিবেশে কুরবানীর গোশত খাওয়া। এতে শিক্ষার্থীরা অনেক আনন্দ পাবে। একে অপরের প্রতি মমতা সৃষ্টি হবে এবং সম্মিলিত আয়োজনে টিম স্প্রিট ডেভলপ করবে। এই প্রোগ্রামের সফলতা পুরোটাই নির্ভর করছে আমাদের অভিভাবকদের আন্তরিক সহযোগিতার ওপর। নিম্নে যাইতুন একাডেমি ও অভিভাবকদের কাজগুলো তুলে ধরা হলো: অভিভাবকদের কাজ: ১. কুরবানীর গোশত: সকল অভিভাবক তাদের নিজ সন্তানের সংখ্যার সাথে বাড়তি ৩ জনের কুরবানী গোশত (গরু/খাসি/মহিশ) রান্না করে নিয়ে আসবেন। উদাহরণ: আপনার যদি ২ সন্তান যাইতুনের শিক্ষার্থী হয় তাহলে মোট ৫ (২+৩=৫) জনের গোশত রান্না করে আনবেন। এর মাধ্যমে আপনার সন্তান এবং আপনারা (মা+বাবা) সবাই খেতে পারবেন। ২. মুরগী ফ্রাই: আপনার সন্তানের সংখ্যার সাথে অতিরিক্ত ৩ পিস মুরগি ফ্রাই করে আনবেন। অনেক বাচ্চা ঝোল গোশত খেতে পছন্দ করে না। মুরগি ফ্রাই ওদের অনেক পছন্দ। শিক্ষকদের কাজ: শিক্ষকবৃন্দও বাচ্চাদের জন্য মজাদার খাবার রান্না করে নিয়ে আসবেন। যাইতুনের কাজ: ১. সাদা ভাত: যাইতুনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের জন্য পরিমাণমতো সাদা ভাত রান্না করা হবে। ২. ডাল: যাইতুনের পক্ষ থেকে সকলের জন্য ডাল রান্না করা হবে। ৩. সালাদ ও পানীয়: যাইতুনের পক্ষ থেকে সকলের জন্য সালাদ ও পানীয় প্রস্তুত রাখা হবে ইনশাআল্লাহ। যৌথ কাজ: প্রোগ্রাম যাতে সফলভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য যাইতুনের শিক্ষক-স্টাফদের সাথে অভিভাবকরাও ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করবেন। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আগমণ ও প্রস্থান: সকল শিক্ষার্থী ইচ্চেমতো সুন্দর পোষাক পরিধান করে অভিভাবকসহ কুরবানীর গোশত নিয়ে সকাল ১০ টায় আসবেন। ১ টার মধ্যে কুরবান ডিশ পার্টি উপলক্ষ্যে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং খাওয়া-দাওয়া সম্পন্ন করে নামাজ পড়ে বিদায় হবেন ইনশাআল্লাহ।